মোঃ আব্দুল হামিদ সরকার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
সকাল গড়িয়ে দুপুর তবুও খূলেনি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তালা। পাঁচশত টাকার চেক দুই হাজার টাকা নেওয়া সহ নিয়মিত অফিস না করার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে। তিনি নিয়মিত অফিসে না আসায় বিঘ্নিত হচ্ছে ভুমি সেবার সকল কার্যক্রম। হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারন ভুক্তভোগীরা। থানার বাহিরে অবস্থান করা সরকারি কর্মকর্তা এমদাদুল হক প্রায় দিনেই অফিসে না আসায় অনিয়মের সুযোগ নিচ্ছে ভুমি অফিসে পার্শ্ববর্তী বসবাসকারী সহকারী ভুমি কর্মকর্তা এমদাদুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী জুয়েল ইসলাম।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২৪ জানুয়ারী (বুধবার) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ভুমি কর্মকর্তা শুন্য পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন ভুমি অফিস। অফিস আছে কর্মকর্তা নেই তবুও উড়ছে পতাকা গেটে ঝুলছে তালা। ভুক্তভোগীরা কয়েক ঘন্টা অবস্থান করলেও সহকারী ভুমি অফিসারের দেখা মেলেনি। সরকারি বিধি মোতাবেক সকাল ৯টায় অফিস খোলার নিয়ম থাকেলেও তিনি প্রতিনিয়ত দুপুরের দিকে এসে অফিস করেন। আবার কোন কোন দিন অফিসেই আসেন না। তার খেয়াল খুশিমত চলে ঐ অফিস। সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা এমদাদুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি রাস্তায় আছি, আসতেছি। সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগ বিভিন্ন অযুহাতে অফিস ফাঁকি ও সঠিক সময়ে উপস্থিত না থাকায় অনিয়মই যেন নিয়ম হয়ে উঠেছে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা এমদাদুল হকের।
ভূক্তভোগী আব্দুল মজিদ জানান, “আমি এখানে ভুমি অফিস আসছি খাজনা দেওয়ার জন্য এবং ৯০ রেকর্ড সার্চ করার জন্য। প্রায় আসি আমি দেখি অফিস বন্ধ। এর আগেও দুই দিন আসছি অফিস বন্ধ। আজকে বেলা ১২টা বাজি যাচ্ছে এলাও তহসিলদার নাই জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়ে আছে। আমরা সঠিক সেবা কোন দিন পাই নাই। ভূমি অফিস সংলগ্ন জুয়েল ইসলামের বাড়ি। তিনি প্রতিদিন সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে এবং সরকারী কর্মচারী না হওয়া সত্বেও ভূমি অফিসের কম্পিউটারে সহকারী ভূমি কর্মকর্তার যাবতীয় কাজ করে।
স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তহশিলদার তার ইচ্ছামত অফিসে আসেন আবার চলেও যান। সরকারী কর্মচারী না হয়েও জুয়েলের ইচ্ছায় চলে অফিস। ইতি পূর্বে উৎকোচ গ্রহনের ঘটনার ঐ ইউনিয়নের সাধারন জনগন সাবেক ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তাকে অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখার মত ঘটনাও ঘটেছিল। অবরুদ্ধ কেলেংকারীর ঐ ঘটনার সাথে জুয়েল জড়িত থাকায় সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন তাকে অফিস এলাকার আশপাশ আসতে নিষেধ করেছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা জানান, খাজনা খারিজ করতে আসলে পাঁচশত টাকার চেক দুই হাজার টাকা নেয়। রুমে যখন আসি হিসাব দিবে তখন আপনি তো পালে যাবেন যে, জমি বেছা কেনায় না করি আর। তিনি যে হিসাবটা দিবে তার পর আপনি যখন ঝেড়মেটি যাবেন একটা ডিসিশনে আসিবেন টাকা এত দিতে হবে, চেক কত টাকার দেই দেই। এই ডিলটা তহশিলদার নিজেই করে। আর চেকটা দেয় অনলাইনের। টাকা ছাড়া কোন সেবা পাওয়া যায় না।
বেলা ১২টার দিকে ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা এমদাদুল হক অফিসে এসে জুয়েল ইসলামের দ্বারা অফিসের তালা খুলে অফিসর কার্যক্রম শুরু করে। এসময় ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা এমদাদুল হকের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমি সৈয়দপুর হতে প্রতিদিন যাতায়াত করি। আমার চাকুরীর মেয়াদ আর ০৩ (তিন) মাস আছে। আমার সৈয়দপুর হতে আসতে একটু দেরি হয়।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা আক্তার বলেন, ইতি পূর্বে তাকে ফাস্ট ওয়ানিং দিয়েছি। যেহেতু আপনাদের কাছে বিষয়টি আবারো জানলাম, তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply