মোঃ মামুন হোসাইন।স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীতে ভুয়া প্রকল্পে এলজিইডির কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে অর্থ লুটের অভিযোগ উঠেছে। একটি সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের সয়েল টেষ্ট দেখিয়ে ১১ লাখ,৯৮ হাজার ৯শ টাকা লুট করে অভিযুক্তরা। অথচ অ্যাপ্রোচ সড়কের ঠিকাদার গিয়াস উদ্দিনের দাবি-ওই প্রকল্পে কোন সয়েল টেষ্ট হয়নি। একই কার্যালয়ের ল্যাব সহকারী আমিনুল ইসলামের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান “জাহানারা সয়েল টেষ্ট এন্ড ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং” এর নামে বিল প্রদান করে এলজিইডি। এসব অভিযোগ লোপাটের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট নথি গায়েব করা হয়। পরবর্তীতে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়া হলেও এলজিইডি‘র সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মির আলী শাকির অভিযুক্ত তথ্য গোপন করে প্রতিবেদককে মনগড়া তথ্য দেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়-পৃথক দুটি দরপত্রে বিবিএম ও ইফতি এফটিসিএল এন্টার প্রাইজ এর মাধ্যমে কলাপাড়া উপজেলার রামনাবাদ নদীতে নির্মিত “সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর” অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মান করে পটুয়াখালী এলজিইডি। এতে ব্যয় হয় ২২ কোটি,৯৫ লাখ, উনষাঠ হাজার,৮২০ টাকা। ২০২১ সালের ৩০ মার্চ এ প্রকল্প শেষ করে জুনের মাঝদিকে চুড়ান্ত অর্থ পরিশোধ করে এলজিইডি। এদিকে ওই বছরের ১৪ জুন অ্যাপ্রোচ সড়কে সয়েল টেষ্টের নামে পৃথক তিনটি কোটেশন করে “জাহানারা সয়েল টেষ্ট এন্ড ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং” ১১ লাখ,৯৮ হাজার ৯শ টাকার বিল প্রস্তুত করে এলজিইডি। ওই বিলের অনুমোদন করেন তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম শাহাবুদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা। এসব প্রসঙ্গে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম শাহাবুদ্দিনকে একাধিকবার কলা করা হলে তিনি তার স্ত্রীকে দিয়ে কল রিসিভ করান।
অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়-“জাহানারা সয়েল টেষ্ট এন্ড ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং” এলজিইডির ল্যাব সহকারী আমিনুল ইসলামের মায়ের নামকৃত প্রতিষ্ঠানটির মালিক তার স্ত্রী মোসাঃ জোহরা বেগম। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির ট্রেডলাইসেন্সে আমিনুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার পাওয়া গেছে। এসব বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করলে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানটির সাইনর্বোড অপসারন করে আমিনুল ইসলাম দাবি করেন-জাহানারা প্রতিষ্ঠানটি বরিশালের জনৈক সিদ্দিকুর রহমানের, তিনি শুধু মধ্যস্বত্বভোগী। বরিশাল জনৈক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন-“আমি সয়েল টেষ্টের কাজ করি। কিন্তু যে প্রসঙ্গে কল দিয়েছেন,তাতে ভেজাল আছে,এর বাইরে কিছু বলতে পারব না। এসব ঘটনায় এলজিইডির কাছে তথ্য চাওয়া হলে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মির আলী শাকির তথ্য দেননি। পরে ২০২২ সালের ২২ মার্চ তথ্য অধিকার আইনের আবেদন করা হলে মির আলী শাকির অভিযুক্ত তথ্য গোপন করে পরবর্তী বছরের ৫ জুন তথ্য দেন। এরপর চলতি বছরের ২১ আগষ্ট পূনরায় তথ্যের আবেদন করা হলে তিনি তথ্য দেননি।
পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ লতিফ হোসেন বলেন-যেহেতু বিষয়টি আমার দায়িত্বের পূর্বের ঘটনায়, তাই এ সর্ম্পকে আমি অবগত নই,তবে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মহির উদ্দিন সেখ বলেন-বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশল দপ্তরের, তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা ভালো বলতে পারবে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply