হিরু আলম প্রতিনিধি পেকুয়া:
জাতীয় সংসদ নিবার্চনের পর এবার সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি নারীদের উন্নয়নে বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে রাজবাড়ী জেলা থেকে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন চান।
রাজবাড়ী জেলা মহিলা আওয়ামিলীগ সভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা মহিলা সংস্থা চেয়ারম্যান তানিয়া সুলতানা কংকন রাজবাড়ী সংরক্ষিত আসন থেকে মনোনয়ন চান।
বাবা-চাচা রাজনীতি সাথে সম্পৃক্ত ছিলো তাদের অনুপ্রেরণায় ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন এবং নারী উদ্যোক্তা হিসাবে দেশের নারী সমাজকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে রাজবাড়ী জেলা থেকে মনোনয়ন চাওয়া রাজবাড়ী জেলা মহিলা আওয়ামিলীগ সভাপতি তানিয়া সুলতানা কংকন বলেন, রাজবাড়ী জেলা মহিলা সংস্থা চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনকালে রাজবাড়ী সহ সমগ্র বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি কাজ করেছি। পরবর্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বৃহত্তর রাজবাড়ী সহ সমগ্র বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি কাজ করছি। রাজবাড়ীর সন্তান হিসেবে এই জনপদের সাথে আমার সম্পর্কের শিকড় গাঁথা৷ তাই রাজবাড়ী জেলার নারীদের জন্য বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে৷
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে রাজবাড়ী জেলা মহিলা সংস্থা চেয়ারম্যান ও রাজবাড়ী জেলা মহিলা আওয়ামিলীগ সভাপতি স্থান দিয়ে যে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন সেই অবস্থানে থেকে রাজবাড়ীর জন্য বিশেষ করে এখানকার নারীদের জন্য কিছু করে যেতে চাই। যেহেতু আমি গত কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা আওয়ামিলীগের সদস্য হয়েছিলাম। বিগত সংসদ নির্বাচনের পূর্ব থেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ও সংগঠনের সিদ্ধান্তে আমি এই রাজবাড়ীর তথা বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে প্রচার প্রচারণায় অংশ নিয়েছি।
তানিয়া সুলতানা কংকন বলেন, সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে রাজবাড়ী জেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে আমার মনে হয়েছে এখানে আমাদের মা বোনেরা নানামুখী চাপের ভেতর বসবাস করছেন। আমার মনে হয় এসব নারীদের কাছে দেশের উন্নয়ন ও পরিকল্পনার বার্তা পৌঁছে দিতে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তানিয়া সুলতানা কংকন বলেন, ‘ছাত্রজীবন হতে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। আমার পুরো পরিবার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনীতির সাথে যুক্ত। বাবা ফারুক হোসেন ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কখনো কারো সঙ্গে আপোষ করেননি। আমি সংরক্ষিত আসনে দলের মনোনয়ন চাইবো। নেত্রী যদি সুযোগ দেন, দেশ-জাতির জন্য কাজ করতে চাই। নারী উদ্যোক্তা হিসাবে দেশের নারী সমাজকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি। রাজবাড়ী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করা এবং মহিলাদের দলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করাসহ বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। নেত্রী যদি এমপি হিসাবে মনোনীত করেন ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে পারব।
উল্লেখ্য,তানিয়া সুলতানা কংকন, শুশুর মরহুম এডঃ আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরী সাবেক সংসদ সদস্য রাজবাড়ী-০১, গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বর্তমানে সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগ, রাজবাড়ী। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বাবা ফারুক হোসেন,দুই চাচা টোনা ও বাবুল মুক্তিযোদ্ধা। দুই চাচা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে দেশকে স্বাধীন করার জন্য সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্থানীয় রাজাকার আলবদরেরা তাদেরকে ধরে নিয়ে নিষ্ঠুরভাবে জবাই করে হত্যা করে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply