পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
‘ঘুষ না দেওয়ায় ঘর নির্মাণে পুলিশের বাধা’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক সমকালের সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন বিল্লালের বিরুদ্ধে পুলিশের যোগসাজশে মামলা দায়ের করেছেন আকতার হোসেন নামের এক ব্যক্তি। গত ২০ ফেব্রুয়ারি চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন তিনি। আকতার হোসেন পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মৃত নুরুল হকের ছেলে। সাংবাদিক বিল্লাল দৈনিক সমকাল এর পেকুয়া প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। মামলায় সাংবাদিক বিল্লাল ছাড়াও বাদীপক্ষের ভাই, চাচাসহ আরও ৮জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার নালিশী দরখাস্ত সূত্রে জানা যায়, মগনামার কোমপড়ার রুপাইখালের চর সংলগ্ন সরকারি খাসজমির দখল নিয়ে বাদীর সাথে তাঁর চাচা ও ভাইদের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো। সে বিরোধের জেরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিরোধীয় জায়গায় উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ওই ঘটনায় সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন বিল্লাল স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে মারামারি করেন।
এব্যাপারে সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন বিল্লাল বলেন, সরকারি খাসজমি দখল নিয়ে কোমপাড়া এলাকার দুই ভাইয়ের ঘটনার আগে আমি কোনপক্ষের সাথে পরিচিত ছিলাম না। ঘটনার পরে আমার কাছে বিবাদী পক্ষ থেকে পুলিশ ঘুষ চাওয়ার তথ্য আসে। আমি ১৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশের ঘুষের ব্যাপারে সমকালের অনলাইন সংস্করণে সংবাদ প্রকাশ করি। এতে পুলিশ আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। আমি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পারি, পুলিশের ইন্ধনে জনৈক আকতার হোসেন আমার বিরুদ্ধে আদালতে নালিশী দরখাস্ত দাখিল করে। সাংবাদিক বিল্লাল আরও বলেন, ঘটনার পর বাদী পেকুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেখানে অন্য আসামীদের নাম থাকলেও আমার নাম ছিলোনা। এখান থেকেই স্পষ্ট হয় কারো ইন্ধনে কোর্টের মামলায় আমার নাম দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী আকতার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সাংবাদিক বিল্লালকে আসামী করার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরে একাধিকবার তাঁর মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ বলেন, বাদী মামলা করেছে সেখানে থানা যোগসাজশের প্রশ্ন কেন আসবে। আর আদালত থেকে এখনো কোন মামলার কাগজপত্র পায়নি। পেলে সঠিক তদন্ত করে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নাই এমন অভিযুক্তদের বাদ দেওয়া হবে। পুলিশের ২০ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মিথ্যা অভিযোগ বলে জানান তিনি।
চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রকিব উর রাজা বলেন, কেউ অপরাধ করলে তাঁর বিরুদ্ধে নিউজ হতেই পারে। এ নিয়ে নিরপরাধ কাউকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো একটি ঘৃণ্যতম কাজ। পুলিশ অফিসারের ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
Leave a Reply