হিরু আলম পেকুয়া প্রতিনিধি:
রাজাখালী এয়ারআলী খানঁ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদ উল্লাহর নামের প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন, রাজাখালী বামুলারপাড়ার এয়ারআলী খান স্কুলের নাইট প্রহরী মৃত আজমগীরের পরিবার শীর্ষক সংবাদ পেকুয়ার অনলাইন নিউজ নামক একটি আইডিতে প্রচারিত হয়েছে। এ নিউজটি মাষ্টার জাহেদ উল্লাহর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি ওই সংবাদের প্রতিবাদসহ নিন্দা জানান। এ সংবাদটি মনগড়া, তথ্যবিভ্রাট ও কাল্পনিক সংবাদ হিসেবে অভিহিত করে মাষ্টার জাহেদ উল্লাহ এর প্রতিবাদে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে এয়ারআলী খান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদ উল্লাহ বলেন, পেকুয়ার অনলাইন নিউজ নামক একটি আইডি থেকে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ আইডিটি মূলত ফেইক আইডি। দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করছি এ আইডি থেকে আমিসহ আরো একাধিক সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। আমি মূলত এয়ারআলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মানিত প্রধান শিক্ষক। সেখানে বলা হয়েছে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। চাকুরী পাইয়ে দেয়ার কথা বলে নৈশ প্রহরী আজমগীর থেকে টাকা নেওয়া হয়নি। এটি মূলত রঙ ছিটানো ও কাল্পনিক। আজমগীরের স্ত্রী ও বড় ছেলে আরফাতের এ সম্পর্কিত ভিডিও বক্তব্য সর্বসাধারণের অবগতির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত একটি চাঁদাবাজচক্র বার বার আমাকে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করছিল। তারা আমি ও আমার প্রতিষ্ঠান নিয়ে অনাধিকার চর্চায় ব্যস্ত ছিল। এ সবে আমি কোন ধরনের কর্ণপাত করেনি। কেননা, আমি নিয়মতান্ত্রিকের মধ্যে আছি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার মধ্যে আমার প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চলমান আছে। এরপরও ওই চক্রটি আমাকে টাকার জন্য বার বার অপার দিয়েছে। আমি কোন অযৌক্তিক আবদারের প্রতি মোটেই সদয় ছিলাম না। এতে করে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ফেইক আইডি দিয়ে আমাকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। আমি
পেকুয়ার রাজাখালী এয়ার আলীখাঁন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: জাহেদ উল্লাহ টইটং ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে। টইটং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন প্রধান মরহুম মাষ্টার নুরুল হক এর সুযোগ্য তৃতীয় সন্তান। আমি সুনামের সহিত রাজাখালী এয়ারআলী খান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এর আগে ঐতিহ্যবাহী শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলাম। মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে ( সারা বাংলাদেশে মেধানুসারে তৃতীয়) বিকম পাস উচ্চতর দ্বিতীয় বিভাগ, বিএড পরীক্ষায় ৩.৭০ থেকে ৪.০০ (সারা বাংলাদেশে মেধানুসারে তৃতীয়) স্থান অর্জন করি। আমি ২০১৬ সালে পেকুয়া উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করি। এছাড়া আমি আরো একাধিক উচ্চতর প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত। পেকুয়া উপজেলায় বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে জড়িত আছি। আমি একাধারে টইটং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, টইটং বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, টইটং বাজারপাড়া সমাজ কমিটির সভাপতি, পেকুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি, পেকুয়া উপজেলা স্কাউট এর সহসভাপতি, পেকুয়া উপজেলা ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী সদস্য, রাজাখালী বকশিয়াঘোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, রাজাখালী ফাতেমা খাতুন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য। পাশাপাশি টইটং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত শহিদুল্লাহ বিএ এর ছোট ভাই। আমি শীঘ্রই এ অপপ্রচার ও ফেক আইডির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব। উক্ত অপপ্রচারে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।
Leave a Reply