মনজুরুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টারঃ
নাটোরে পৃথক মামলায় আটক আদেশসহ দুইজনের বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানা ও দুইজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত কালাম বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীপুর এলাকার রুপচান মাস্টারের ছেলে। বাগাতিপাড়ার আরেকটি মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত সুজন রানা কুস্টিয়া জেলার দৌলতপুর চরপাড়া এলাকার আনারুলের ছেলে। এবং খালাস পেয়েছেন উপজেলার ফাগুয়াদিয়ার এলাকার আমীর আলীর ছেলে মাহমুদুল হাসান ও একই উপজেলার বড়পুকুরিয়া এলাকার কাশেম আরীর ছেলে সুজন ।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দন্ডপ্রাপ্ত কালাম বড়াইগ্রাম উপজেলায় ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারী সকালে মৌখাড়া কাঠালতলা এলাকায় পাকা রাস্তার ওপর অশ্লীল আচরন করে পরে উলঙ্গ ছবি দেখাইয়া তার চরিত্রের ব্যঘাত করবেন বলে চলে যায়। এঘটনায় ৩ মার্চ ভূক্তভোগি নারী বাদি হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কালামকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে আজ সোমমবার কালামকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন বলে জানান, নাটোর জজ কোর্টের স্পেশাল পিপি আনিসুর রহমান। জড়িমানার টাকা ভুক্তভুগি পাবে উল্লেখ করেও রায়ে বলা হয়।
অপর দিকে বাগাতিপাড়ার উপজেলার পেড়াবাড়িয়া এলাকায় ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতে প্রেমের ছলে মোবাইল ফোনে বিয়ের প্রলভোন দিয়ে ডেকে নিয়ে পার্শের আম বাগানে ধর্ষন করে পালিয়ে যায় সুজন রানা। এঘটনায় সহযোগিতা করেন বন্ধু মাহমুদুল হাসান(১৭) ও সুজন (১৭)। এঘটনায় পরের দিন নির্যাতিতা বাদি হয়ে সুজন কে প্রধান করে মাহমুদুল হাসান ও সুজন আসামী করে বাগাতিপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ সোমবার সুজন রানা ৯(১) ধারায় দোষি সাব্যস্ত হওয়ায় ১০ বছর আটক আদেশ দেন। সেসাথে ৯(১) /৩০ ধারায় দোষি সাব্যস্ত না হওয়ায় মাহমুদুল হাসান ও সুজন কে খালাস প্রদান করেন বলেও জানান, নাটোর জজ কোর্টের স্পেশাল পিপি আনিসুর রহমান।
Leave a Reply