সেলিম মাহবুব,সিলেট:
বিভিন্ন অজুহাতে মহিলা ক্যাডেটদের সাথে অশালিন আচরন করা ও ইভটিজিংয়ে জড়িয়ে পড়া ছাতকে এক কলেজ প্রভাষক ও বিএনসিসি প্লাটুনের পিইউও’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ এক্স ক্যাডেট এসোসিয়েশন (বেকা)’র দায়িত্বশীলরা। বিএনসিসির নামে বরাদ্দ অর্থ আত্মসাৎ, বিভিন্ন সুযোগে নারী ক্যাডারদের যৌন হয়রানী করা ওই কলেজ প্রভাষক ও বিএনসিসি প্লাটুনের পিইউও’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে তার অপকর্মের কথা তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ এক্স-ক্যাডেট এসোসিয়েশ (বেকা) সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিটের নেতৃবৃন্দ। জেলা ইউনিটের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্বাহী সদস্য পাবেল আহমদ। সোমবার বিকেলে ছাতক শহরের হাইস্কুল মার্কেটের বেকা’র অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সামরিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এক্স ক্যাডেটদের সমন্বয়ে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ এক্স-ক্যাডেট এসোসিয়েশন (বেকা) জন্মলগ্ন থেকেই মানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। একই আদর্শে লালন করে বাংলাদেশ এক্স ক্যাডেট এসোসিয়েশন (বেকা) সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিট মানব কল্যাণে কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। জেলা ইউনিট হলেও এ ইউনিটের অধিকাংশ এক্স-ক্যাডেট ছাতক সরকারী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। তবে কলেজ বিএনসিসির সাথে বেকা’র কোন সম্পর্ক নেই। বিশেষ কোন আয়োজনে কর্তৃপক্ষ ও ক্যাডেটদের আমন্ত্রনে কলেজের অনুষ্ঠানে এক্স ক্যাডেটরা যোগ দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি এমনই একটি প্লাটুনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ছাতক সরকারী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও বিএনসিসির পিইউও একেএম বকের হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে নারী ক্যাডারদের যৌন হয়রানী সহ বিভিন্ন কু-কীর্ত্তির কথা জানতে পারেন বেকা’র সদস্যরা। পুরুষ থেকে নারী ক্যাডেটদের বেশী গুরুত্ব দেয়া, বিশেষ অনুষ্ঠানে কুচকাওয়াজে নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া, দুরের কোন অনুষ্ঠানে গেলে গাড়িতে নিজের পাশের সীটে নারী ক্যাডারদের বসতে বাধ্য করা, কারনে-অকারনে নারী ক্যাডারের হাত সহ স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসে এ প্রভাশকের বিরুদ্ধে। গত ২৪ মার্চ এসব অভিযোগ তুলে ধরে প্রভাষক ও বিএনসিসির পিইউও একেএম বকের হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে এক নারী ক্যাডার লিখিত অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ বরাবরে। সু-চতুর এ প্রভাষক নারী ক্যাডারদের ইভটিজিংয়ের বিষয়টি আড়াল করতে ২৯ মার্চ বাংলাদেশ এক্স ক্যাডেট এসোসিয়েশন (বেকা) সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিটকে দোষারোপ করে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় বিবৃতি আকারে প্রকাশ করান। এর তিব্র নিন্দা জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, নারী ক্যাডটদের ইভটিজিংকারী প্রভাষক বাকের হোসেন একজন অর্থ লোভী ও দুর্নীতিবাজ। বিএনসিসির নামে বিভিন্ন সময়ে বরাদ্দ সরকারী অর্থ তিনি ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তার অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি ২০১১ সালের ১৬ জুলাই বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। এতোসব অভিযোগ থাকা সত্তেও অজ্ঞাত কারনে নারী ও অর্থলোভী প্রভাষক বাকের হোসেন হাওলাদার এখনো রয়েছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তার দেয়া মনগড়া বিবৃতি প্রত্যাহার সহ আনিত অভিযোগের তদন্তপূর্বক বিচার দাবী করা হয় লিখিত বক্তব্যে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এক্স ক্যাডেট এসোসিয়েশন(বেকা) সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিটের সভাপতি হোসেন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাফাতুর রহমান চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য ইমরান হাসান, জিয়াদুল হক পাপ্পু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply