বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি।।
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মৃত, কাশেম মুন্সির পুত্র সোহেল রানা ওরফে ইয়াবা রানা। রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজারে অন্যের ডিসিআর কৃত জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন।
সোহেল রানা আগে পেশাদার একজন চোর ছিলো। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর বরিশাল কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে বরিশাল নগরীর ৯ নং ওয়ার্ড জজ কোট আদালতের জেলা আইনজীবী সমিতির সামনের রাস্তার মধ্যে একটি চোরাই আরটিআর টিভিএস মোটরসাইকের গাড়িসহ গ্রেপ্তার হয়। যাহার মামলা নং – ২০৫/২০২১।
তবে এখনও চুরির পাশাপাশি মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সোহেল রানা ওরফে ইয়াবা রানা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ১০০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বরিশাল র্যাব ৮ এর সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হয়। ওই সময় সোহেল রানার বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানা একটি মাদক মামলা হয়। যাহার বাকেরগঞ্জ থানায় এফ আই আর নং -৮। কয়েক মাস পর জেল থেকে বেরিয়ে ফের মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে সোহেল রানা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সোহেল রানার মাদক ব্যবসার নানা কৌশল রয়েছে। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সোহেল রানা ওরফে ইয়াবা রানা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ছাত্র ছায়ায় থেকে দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একের পর এক অপকর্ম করে পার পেয়ে যাওয়া একাধিক মামলার আসামি বর্তমানে বাকেরগঞ্জ উপজেলা এলাকার মুর্তিমান আংতকে পরিনত হয়েছে।
তার নানামুখী অপতৎপরতায় এলাকার সাধারন ও নিরীহ মানুষ রীতিমত সন্ত্রস্থ হয়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেরা জুড়ে শীর্ষ মাদক কারবারি সোহেল রানার রয়েছে বিশাল একটি মাদক সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের সদস্য প্রায় অর্ধশতাধিক। মূলত এদের দিয়েই উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে চলে তার ইয়াবা, ও গাজার ব্যবসা। আর এই ব্যবসার সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করছেন বরিশালের আঞ্চলিক কলমের কন্ঠ পত্রিকার কার্ড। দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় প্রাইমারির গণ্ডি পার হয়নি সোহেল রানা। অথচ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোটরসাইকেলে কলমেরকণ্ঠ পত্রিকার স্টিকার লাগিয়ে চুরি সহ দেদারসে মাদক ব্যবসা করে আসছে।
কলমেরকন্ঠ পত্রিকার স্টিকার ব্যবহার করে বরিশালে চোরাই মোটরসাইকেল সহ গ্রেপ্তার হয়েছিল এই সোহেল রানা এরপরও অজানা কারণে এখনো কলমের কন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধির পরিচয় দিয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলায় গড়ে তুলেছে মাদকের বিশাল সিন্ডিকেট।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভরপাশার চিহ্নিত ডাকাত কাশেম মুন্সির দ্বিতীয় ঘরের সন্তান ইয়াবা রানা। তার পিতার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা সহ বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ক্লার্ক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু হত্যার মামলার আসামি ছিল সোহেল রানার পিতা কাসেম মুন্সি।
বিগত কয়েক বছর থেকে এই মাদকের জমজমাট ব্যবসা করছেন রানা। প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার নিয়ে লোকজন ছুটে আসে সোহের রানার কাছে কালিগঞ্জ বাজারে। সন্ধ্যা নামলেই তার মাদক আস্তানায় ভিড় জমে ইয়াবাসেবীদের। ভারপাশা ইউনিয়ন ও রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তার মাদকের আস্তানা রয়েছে। যেই আস্তানায় বসে মাদক বিক্রয় ও সেবন চলে গভীর রাত্র পর্যন্ত।
আর এখন প্রকাশ্যে চলে জমজমাট মাদক ব্যবসা। এ নিয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। স্থানীরা তার বিরুদ্ধে ‘টু’ শব্দটি করার সাহস ও শক্তি পর্যন্ত হারিয়েছে। কারণ প্রতিবাদ করলে নানা হুমকী ধমকি ও পুলিশী হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থাণীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, প্রতিদিন ২০/৩০টি মোটরসাইকেল সোহেলের বাসার সংলগ্ন কালিগঞ্জ বাজারে আসে ইয়াবা ট্যাবলেট নিতে। এরমধ্যে বেশীরভাগই তরুণ ও যুবক বয়সী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেদারছে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সোহেল রানা ও তার লোকজন। প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার মাদক বিক্রি করে এই সিন্ডিকেট। তবে পরিচিত লোক ছাড়া কারো কাছে মাদক বিক্রি করে না সোহেল রানা। তার নামে থানায় মাদক, চুরি ছিনতাই মামলা হয়েছে বিগত সময়ে। তারপরও বীরদর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সোহেল রানা।
এ বিষয়ে বরিশালের পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ সবর্দা মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এরইমধ্যে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। মাদকের সাথে জড়িত থাকলে তাকেও গ্রেফতার করা হবে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply