সেলিম মাহবুব,সিলেট:
চিরতরে স্তব্ধ হয়ে গেলো সাহসী প্রতিবাদী এক কন্ঠস্বর। একটু স্বস্তি এবং অবদারের জন্য কোনো গরীব অসহায় মজলুম ভুক্তভোগীদের ডাকে সাড়া দেবেন না কোনদিন মাহতাব হোসেন। চিরনিদ্রায় শায়িত হয়ে আছেন বড়জুম কবরস্থানে। এর সাথে অমিট হয়ে গেলো একটি নাম ও ইতিহাস। সমাজের যেখানে অন্যায়-অবিচার, ক্ষমতার অপব্যবহার সেখানে ন্যায় এবং সত্যের বলিষ্ট হুংকার ছিলো মাহতাব হোসেনের। মাহতাব হোসেন শুধু একটা নামই নয় একটা প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠানে সমাজের সাধারণ ভুক্তভোগী মানুষেরা সেবা পেতো। আপোষহীন এই সংগ্রামী মানুষটি গত ১৯ শে এপ্রিল সিলেটের রাগিব রাবেয়া মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমিছেন। তিনি গত সংসদ নির্বাচনে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে তার অগ্রণী ভুমিকা ছিলো। ছিলেন একজন ন্যায় বিচারক ও। তিনি নোয়াগাওঁ বাসীর জন্য একটা শক্ত প্রাচীর ছিলেন। যা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে শুধু একটা গল্প বলার মতো হয়ে থাকবেন। মাহতাব হোসেন ছিলেন একজন সৎ এবং সাহসী ও সংগ্রামী জীবননের অধিকারী। তাকে ঘিরে অসংখ্য লেখা রয়েছে। জীবনে একজন সফল ব্যবসায়ী ও ছিলেন তিনি। তার মাঝে আমিত্বর কোন ভাব ছিলো না। ছাতকের বিভিন্ন ব্যবসায়ীক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাহতাব হোসেন ছিলেন ইসলামপুর ইউনিয়নের গণেশপুর- নোয়াগাও গ্রামের বাসিন্দা এবং মরহুম আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। সংসার জীবনে ৩ সন্তানের জনক ছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৩ সন্তান,৪ ভাই,৩ বোন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন মাহতাব হোসেন।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply