সেলিম মাহবুব,সিলেট:
দোয়ারাবাজারে ধর্ষণের পর কলেজ ছাত্রীকে হত্যা করেছে এক দুর্বৃত্ত। পুলিশ ওই ধর্ষককে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে গ্রেফতার করেছে। তার নাম লিটন আহমদ (২০), সে সুনামগঞ্জ সদর থানার বল্লভপুর গ্রামের খলিল আহমদের ছেলে। নিহত কলেজ ছাত্রীর নাম তমা আক্তার (১৮) সে দোয়ারবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও গ্রামের ফরিদ আহমদের মেয়ে। পুলিশ ও নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ ছিলনা পান্ডারগাঁও গ্রামে। ফরিদ আহমদের স্ত্রী তখন বাড়ীতে ছিলেন না। ফরিদ আহমদ ও তার ছোট ছেলে বাজারে ছিলেন। এই সুযোগে লিটন বাড়ীতে ঢুকে তমাকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। রাত সাড়ে আট টায় তমার ভাই বাড়ীতে এসে ঘরের দরজা লাগানো দেখে ডাকাডাকি শুরু করে। একপর্যায়ে টিনের বেড়ার ছিদ্র দিয়ে তার বোনের লাশ দেখতে পায়। পরে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এমন আলামত খুজে পায়। রাতেই এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেন তমার বাবা ফরিদ আহমদ। তমার চাচা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আলী হোসেন দাবী করেছেন, তার ভাতিজিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে খুন করেছে লিটন আহমদ। মঙ্গলবার পুলিশ দুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থানার পান্ডারগাঁও গ্রামের ফরিদ আহমদের মেয়ে তমা আক্তার (১৮) গত ২৯ এপ্রিল রাত ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে তার বসতঘরের চৌকাঠের সাথে ওড়না দিয়ে হাটু ভাজ করা অবস্থায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে বলে থানায় জানানো হয়। উক্ত সংবাদ পাওয়ার পর দোয়ারাবাজার থানার এসআই মোহাম্মদ আবুল বাশার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমকে ঝু*লন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তিনি ভিকটিমের পিতা-মাতা সহ আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিমের মৃত্যুর বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন অফিসারদের বিষয়টি অবহিত করেন তিনি। ভিকটিমের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। পরে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন অফিসারগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা ফরিদ আহমদ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। মামলা রুজুর পর জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মোহাম্মদ আবুল বাশারসহ থানা পুলিশের একাধিক টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি শনাক্ত করণ সহ গ্রেফতারে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। পুলিশের অভিযানে লিটন আহমদকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি লিটন আহমদ ভিকটিম তমা আক্তারকে (১৮) ধর্ষণ পূর্বক হত্যার কথা স্বীকার করে। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এহ্সান শাহ্ পিপিএম বার (সেবা) মামলার ঘটনার বিষয় বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রাজন কুমার দাসসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা গণ উপস্থিত ছিলেন।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply