বিশেষ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ এলাকায় কিশোর গ্যাং গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখমকারী সন্ত্রাসী মানিক গ্যাং গ্রুপ প্রধান মোঃ মানিক প্রকাশ লাল মানিক এবং এজাহারনামীয় দুই সহযোগীসহ মোট তিন(০৩) জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম।
২৭ আগস্ট,অভিযানে সোনাগাজী পৌরসভা এলাকায় অবস্থানকালে আসামী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আকাশ (২৬) পরবর্তীতে আসামী জাহাঙ্গীর এর দেওয়া তথ্যে কুমিল্লা জেলার নাংগলকোট এলাকায় অভিযানে আসামী ২। মোঃ মানিক প্রকাশ লাল মানিক(২৭)এবং মোঃ রুবেল (২৬), আটক করে।
আটক জাহাঙ্গীর আলমের পিতা-মৃত মোশারফ হোসেন, সাং-নয়াপাড়া, থানা-পাহাড়তলী,মোঃ মানিক ও মোঃ রুবেল
পিতা-মৃত মোঃ মোস্তফা ও পিতা-মোঃ বাবুল আকবরশাহ থানার বিশ্বকলোনী,ও -জানারখিল এলাকার সকলেই চট্টগ্রাম মহানগরীর বাসিন্দা।
র্যাবসূত্রে জানা যায়,গত ১৫ আগস্ট ভিকটিম আবুল হাসনাত প্রকাশ বাবু জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে কর্ণেলহাটস্থ একটি ওভারব্রীজ এর পাশে অবস্থানকালে মানিক গ্যাং গ্রুপ প্রধান মোঃ মানিক ও তার অনুসারীদের সাথে বাকবীতন্ডায় গ্যাং প্রধান মোঃ মানিক ভিকটিম আবুল হাসানাতকে দেখে নেয়ার হুমকীর জেরে গত ১৮ আগস্ট মো: মানিক এর নেতৃত্বে অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনের একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপ আকবরশাহ থানাধীন জানারখীল এলাকায় ভিকটিম আবুল হাসানাতকে একা পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্মমভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাবি বাদী হয়ে মোঃ মানিক ও আরো ১০/১২ জনকে এজাহার নামীয় আসামী করে আকবরশাহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর থেকে প্রধান আসামী মো: মানিক ও অন্যান্য আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
র্যাব-৭,গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরধারী,গোপনসূত্রে মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী মোঃ জাহাঙ্গীরকে সোনাগাজী পৌরসভা এলাকায় অবস্থানকালে আসামিদের আটক করে। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তার সূত্রে বর্ণিত মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে।
জিজ্ঞাবাসাবাদে,তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকারী সক্রিয় মানিক গ্যাং গ্রুপের নেতৃত্ব দিত এবং এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার জন্য বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজ করত। উক্ত সংর্ঘষের কারণে স্থানীয় জনসাধারণ ভীতি ও শংকার মধ্যে জীবন যাপন করত। আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য: সারা দেশে কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন ছত্রছায়ায় নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার,চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে খুনাখুনিসহ নানা অপরাধে কিশোর-তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে। মাদক ব্যবসা ও দখলবাজিতেও তাদের ব্যবহার,নানা অপরাধে জড়িয়ে কিশোররা ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। অধিকাংশ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে স্থানীয় এলাকার একটি চক্রের মদদ রয়েছে। ‘হিরোইজম’ প্রকাশ করতেও পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে।এসব অপরাধ দমনে ও সমাধানে দরকার প্রশাসনের নজরদারি তদারকি ও সকলের সহায়তা সহায়তা এমনটাই মনে করেছেন সাধারণ ও সচেতন মহল।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply