নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্যাণাল পার্টির চেয়ারম্যান ও মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রধানমন্ত্রী কটূক্তি মামলার আসামী মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরী। এপির ক্ষমতা দেখিয়ে থানা প্রসাশনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। তাই এলাকার সাধারণ মানুষ তার হয়রানি থেকে বাঁচতে মগনামার যেকোন ঘটনার সঠিক তদন্ত করে মামলা রুজু করার আবেদন জানান এবং থানা প্রসাশনের সহযোগিতা কামনা করেন।
৭ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউপির সাতঘরিয়া পাড়া এলাকায় শতশত নিরীহ মানুষ এমন অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বক্তব্য প্রধান করেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী জাকের উল্লাহ, আজিম ও হেলাল জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মগনামা সাতঘরিয়া পাড়া স্টেশনে স্কুল শিক্ষার্থী ছাবিদ হোছেনের সাথে গ্রাম পুলিশ সদস্য মোস্তফা কামালের সামান্য বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। স্থানীয়রা এসে তাদের বিষয়টা সমাধান করে দেয়। সেখানেই তাদের বিরোধ শেষ হয়ে যায়। এখানে কোন ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তবে ওই গ্রাম পুলিশ সদস্যকে বলির পাঠা বানিয়ে দিয়ে এই সামান্য বিষয়কে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত কারার জন্য এলাকার অসংখ্য নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর পায়তারা করছেন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস চৌধুরী। সন্ধ্যার দিকে গ্রাম পুলিশ সদস্যকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ জমা দিয়েছে পেকুয়া থানায়,এটি সম্পন্ন মিথ্যা। আরো জানা গেছে, স্কুল শিক্ষার্থী ছাবিদের মামা জিয়া উদ্দিন বিগত সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করার জের ধরে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে হয়রানিসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি যারা ট্রাক প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছে তাদের সবাইকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে এমনি এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান বলেন, আমি ব্যবসা করে রুজিরোজগার করি। ইউনুস চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। এমনকি আমার বাড়িঘর আগুনে পুড়ে দেওয়ার হুমকি ও দিচ্ছেন। এই মূহুর্তে আমি জীবন শংকায় আছি। যে কোন মূহুর্তে ইউনুস চেয়ারম্যান আমাকে হত্যা করতে পারে। আমি এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এবিষয়ে জানতে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরীকে একাধিক বার কল দেওয়া হয়েছে। তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, মগনামায় এক গ্রাম পুলিশ সদস্যকে মারধরের একটা অভিযোগ পেয়েছি। তবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply