গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেড়াইদের চালা এলাকার মৃত বজলুর রহমানের কন্যা তানজিলা আক্তার মিলিকে যৌতুক এর জন্য নির্যাতন করেছে মিলির শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সময় মতো যৌতুক দিতে না পারায় মিলিকে তালাক দিয়ে উল্টো গরু চুরির মামলা দেওয়া হয় মিলি ও তার খালার বিরুদ্বে।জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার ভাংনা হাটি গ্রামের আব্দুল মতিন মন্ডলের পুত্র মোঃ শহিদুল্লাহ মন্ডল এর সঙ্গে ২২/ ৯/২০২১ তারিখে ইসলামিক শরিয়ত বিধান মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মিলির শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও তার স্বামী যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু করে। এরই মধ্যে মিলি একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের মা হন। যার বর্তমান বয়স ১৮ মাস। বিয়ের সময় মিলির সুখের কথা চিন্তা করে পরিবারের লোকজন গলার হার, হাতের বালা, কানের দুলসহ মোট পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার প্রদান করে। যার আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা। পরবর্তীতে মিলির স্বামী ৫ লক্ষ টাকা শ্বশুরবাড়ি থেকে এনে দেওয়ার জন্য নানান ভাবে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে মিলির ওপর। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মিলু তার পরিবারের নিকট থেকে তিন লক্ষ টাকা ধার হিসেবে বাড়ি করার জন্য তার স্বামিকে এনে দেন। কিন্তু সে টাকা ফেরত চাইতে গেলে মিলির ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। নির্যাতন সইতে না পেরে মিলি মাঝেমধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যেতেন। বর্তমানে মিলি তার পিত্রালয়ে জীবন যাপন করছেন। কন্যা সন্তানটি এখন তার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় লম্পট শহীদুল্লাহ মন্ডল এর আগেও একটি বিয়ে করেছিল। অনন্যপায় হয়ে গাজীপুর আদালতে মিলি একটি মামা করেছ।
Leave a Reply