সেলিম মাহবুবঃ
ছাতক এসপিপিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় ফান্ডের অর্থ আত্মসাত সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দেয়া অভিযোগের প্র্রেক্ষিতে ২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র দাস ও একাডেমিক সুপার ভাইজার সুয়েব আহমদকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি ২৩ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সরেজমিন তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, এক শিক্ষার্থীর সাথে অমানবিক আচরণ ও নির্যাতন সহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দেন আবু বক্কর সিদ্দিক চৌধুরী নামের এক অভিভাবক। ৫ সেপ্টেম্বর তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্নার কাছে এ অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। এ দিকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর কৌশলে বিদ্যালয়ের ৮ ম শ্রেণির ৩ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর নিয়ে অপর এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এ নিয়ে এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি অভিভাবকদের অবগত না করে এবং অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সু কৌশলে এ অভিযোগ দিয়েছেন বলে তারা দাবি করেন। আগ থেকে লিখে রাখা একটি আবেদনে শুধু তাদের স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে তারা জানান। নিজের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছেন বলে তারা মনে করেন। ৩ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের এহেন কার্যকলাপে অসন্তোষ প্রকাশ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আরো একটি লিখিত অভিযোগ দেন ১৭ সেপ্টেম্বর। অভিভাবক সাজনা বেগম, সামিনা বেগম ও জাবেদ মিয়া এ অভিযোগটি দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে (শোকজ) বলা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরীফ উদ্দিনকে। তদন্ত কমিটি গঠন ও প্রধান শিক্ষককে শোকজের বিষয়টি স্বীকার করেন উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা জয়দেব চন্দ্র দেবনাথ।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply