সেলিম মাহবুব,সিলেট:
ছাতকে প্রশাসন কর্তৃক চিহ্নিত করা শাখাইতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারনী লাল পতাকা সহ খুটি প্রকাশ্যে উপড়ে ফেলে দেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র উত্তেনার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার দিনভর এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছিল টান-টান উত্তেজনা। এতে বড় ধরনের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সংঘটিত হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি বিকেলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ডাকে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে এলাকাবাসীর এক বৈঠকে স্থানীয় লোকজন চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জানা যায়, শাখাইতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫১৬ দাগে রয়েছে প্রায় ৯১ শতাংশ ভুমি। এসব ভুমির মধ্যে প্রায় দু’শতক ভুমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চরচৌরাই-আশাকাচর গ্রামের মৃত মুসলিম আলীর পুত্র মোশাহিদ, আব্দুল মতি এবং ইদ্রিছ আলীর পুত্র আরিফ আলীর বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। গত ২০ মার্চ সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইসলাম উদ্দিন বিরোধ নিস্পত্তির লক্ষে সরকারী সার্ভেয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দিয়ে উভয় পক্ষের উপস্থিতি ও সম্মতিতে ৫১৬ দাগের সীমানা নির্ধারন করে লাল পতাকা সহ খুটি পুতে দেন। নির্ধারিত সীমানার বিদ্যালয়ের অংশে মোশাহিদ গংদের থাকা একটি স্থায়ী স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্ধেষও দেন তিনি। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের ভুমি একটি বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসতে সরকারী অর্থায়নে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করে স্কুল র্কৃপক্ষ। এক পর্যায়ে সীমান নির্ধারনী অংশ থেকে স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হলে প্রতিপক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে প্রশাসন কর্তৃক পুতে দেয়া খুটি লাল পতাকা সহ উপড়ে ফেলে দেয়। প্রত্যদর্শীদের মতে এসম প্রশাসন ও এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে অকথ্যভাষা গালাগাল করে প্রতিপক্ষরা। এতেই মুহুর্তেও মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। বিকেলে এলাকাবাসীকে নিয়ে বৈঠকে বসেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কদর মিয়া, হুশিয়ার আলী মেম্বার, বশির আহমদ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য সোনা মিয়া, বুরহান উদ্দিন, জহিরুল ইসলাম, সমুজ আলী, মাহবুবুল হক সিজ্জুল, স্থানীয় মতিউর রহমান, সামছুল ইসলাম, আজিজুর রহমান, সিরাজ মিয়া, হারুন রশীদ, নুরুল ইসলাম, ময়নুল ইসলাম প্রমুখ।
Leave a Reply