সেলিম মাহবুব,সিলেট:
ছাতকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর অর্থায়নের ও সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএন আরএস)’র বাস্তবায়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে উচ্চ পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ ফরটিফাইট বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা ৯টি ইউনিয়নে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উচ্চ পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ ফরটিফাইট বিস্কুট বিতরণ করা হয়। ২৫ জুন ছাতক সদর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে সিএনআরএস। ওইদিন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত ফরটিফাইট বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না। ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং ইউপি সচিব আব্দুস ছবুর ও সিএনআরএস’র প্রকল্প সমন্বয়কারী কামরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর প্রোগ্রাম এসোসিয়েট আজাহারুল ইসলাম, সিএনআরএস’র প্রকল্প সমন্বয়কারী সৌরভ কান্তি রায় প্রমুখ। একই সাথে দোয়ারা উপজেলায়ও বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে বেসরকারী এ সংস্থা। ছাতক উপজেলার ৯টি এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার ৬টি মোট ১৫টি ইউনিয়নে বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম সমাপ্ত হয় ৩ জুলাই। ছাতক উপজেলার ছাতক সদর, নোয়ারাই, ইসলামপুর, কালারুকা, উত্তর খুরমা, চরমহল্লা, জাউয়া, দক্ষিন খুরমা, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ও ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের মোট ১১ হাজার ১৭১টি উপকারভোগী পরিবারের প্রত্যকে পায় ৫ কেজি ওজনের
১০০ প্যাকেটের একটি বিস্কুটের কার্টন। একইভাবে দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা, দোয়ারা সদর, মান্নারগাঁও, পান্ডারগাঁও, দোহালিয়া ও লক্ষীপুর ইউনিয়নের ৪ হাজার ৯৯৬ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয় এসব উচ্চ পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ ফরটিফাইট বিস্কুট। টানা ৯দিনে বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রমে স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ ছিলেন অনুষ্ঠানের সভাপতি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে ও স্থানে বিশ্বখাদ্য কর্মসূচীর হেড অফ ফিল্ড অপারেশন নাফিজা খান, হেড অফ ফিল্ড অফিস সিলেটের মামুনুর রশিদ, প্রোগ্রাম এসোসিয়েট আজাহারুল ইসলাম, শামীম আহমদ, প্রোগ্রাম এসোসিয়েট মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন রুবেল সরকার, বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিএনআএস’র সিনিয়র ম্যানেজার মোখলেছুর রহমান চৌধুরী সুমন, সমন্বয়কারী সৌরভ কান্তী রায় সহ সংস্থার বিভিন্ন পদের ৫০ জন কর্মী বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন। বিতরণকালে বিতরণকৃত বিস্কুটে পর্যাপ্ত পরিমানে পুষ্টিগুন থাকায় ৬ মাসের কম বয়সী শিশুকে এসব বিস্কুট না খাওয়ানোর জন্য সতর্ক ও পরামর্শ দেয়া হয়।
Leave a Reply