মোঃ মামুন হোসাইন।স্টাফ রিপোর্টার
গলাচিপা পটুয়াখালী ঃ ধানের রাজধানী পটুয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চল বলে ঐতিহ্য থাকলেও টানা ভারী বৃষ্টির কারনে আমন ধানের বীজ তোলা ও রোপা আমন রোপণ শেষ হতে না হতে’ই দুঃশ্চিন্তায় প্রান্তিক কৃষকগোষ্ঠী।
চলতি মৌসুমে ঋতু পরিবর্তনে প্রচণ্ড তাপদাহ খড়া, বৃষ্টি অতিবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় রেমাল তাণ্ডবে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করছেন প্রান্তিক সোনালী কৃষক-কৃষাণী।
একটানা ভারী বর্ষায় গলাচিপা, রাঙ্গাবালী ও দশমিনা অঞ্চলের বীজ তোলা পানিতে ডুবে যাওয়ার কারনে অধিকাংশ’ই বীজ পচেঁ যাওয়ার কারনে, বাড়তি দামে নতুন বীজ সংগ্রহ করে চাষাবাদ শুরু করলেও দুঃশ্চিন্তা যেন পিছু ছাড়ছেনা।
গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী অঞ্চলে খবর নিয়ে জানা যায়, অতিরিক্ত ভারী বৃষ্টিপাত হওয়াতে পানিতে ডুবে আছে কৃষি আবাদী ফসলী জমি। দ্রুত পানি সরে না গেলে আমন ধানের বীজ এবং রোপা আমন পচেঁ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যয় ও নদী সংলগ্ন বেড়ীবাঁধগুলো ভাঙ্গনের সঙ্কাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কার্মকর্তা আক্তার জাহান মুঠোফোনে জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ৬ থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ৫৯.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টা এ আবহাওয়া চলমান থাকবে, কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী ও বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মোঃ আরিফ হোসেন নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর), পটুয়াখালী পওর বিভাগ, (বাপাউবো), তিনি জানান, চলমান আবহাওয়াগত কারনে নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে। কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, গলাচিপা ও দশমিনার নদীগুলো বিপদ সীমার কাছাকাছি দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পাশাপাশি নদীবেষ্টিত বেড়ীবাঁধ ও ভাঙ্গন এলাকায় খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply