জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুর শহরের মেডিকেল রোডের হযরত আলী মার্কেটের শক্তি ঔষধালয়ের দোকান ঘরের জমি আত্মসাৎ করার পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত অফিস সহায়ক শাহানা ও তার স্বামী শহরের মুসলিমাবাদ নিবাসী মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে জামালপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে জামালপুর শহরের মেডিকেল রোডের হযরত আলী মার্কেটের মালিক মরহুম হযরত আলীর ছোট ছেলে জিলহজ্ব আলী নাদু ও তার পরিবার শাহানা-রেজাউল দম্পতির দ্বারা সৃষ্ট ভুয়া দলিলের মাধ্যমে তাঁদের জমি আত্মসাৎ করার জ্ন্য
সুগভীর চক্রান্তের কথা তুলে ধরেন।
তাদের অভিযোগ, নাদুর ভাবী দ্বীন ইসলামের স্ত্রী মাহমুদার মালিকানাধীন ১ শতাংশ জমি যা সোনালী ব্যাংকে মর্টগেজ রয়েছে। সেই জমি নিলামের পক্রিয়া হলে মাহমুদা ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করবে শর্তে মাহমুদার বোনের নামে একটি দলিলের মাধ্যমে হস্তান্তর করে দেন। পরবর্তীতে মাহমুদার বোন সে টাকা পরিশোধও করেন নাই জমিতেও আসেন নাই। এমনকি ব্যাংকে মর্টগেজকৃত সম্পত্তি আইনত হস্তান্তরযোগ্য নয় মর্মে জ্ঞাত হয়ে দলিলটি কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। এদিকে শাহানা ভূমি অফিসে চাকুরি করার কারণে এই অকার্যকর দলিলকে পুঁজি করে মাহমুদ মাহমুদার বোনকে পটিয়ে বিনামূল্যে একটি পাওয়ার অব এটর্নি দলিল গ্রহণ করে। এদিকে বাস্তবিকভাবে এই দলিলটির কোন প্রকার মালিকানা বিদ্যমান না থাকলেও শাহানা বেগম ১২৯৪৫ নং একটি ভুয়া সাফ কবলা দলিল সৃষ্টি করে যার মধ্যে ভুয়া চৌহদ্দি কাতিয়ে তার স্বামী মোঃ রেজাউল করিমের নিকট হস্তান্তর করেন।৷ আর জামালপুর এসিল্যান্ড অফিসে চাকুরী করা কালীন সময়ে সম্পূর্ণ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কৌশলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোনপ্রকার দখল ছাড়াই একটি নামজারী খারিজ সম্পন্ন করে নেন। অথচ একই জমির সকল খাজনা খারিজ প্রকৃত মালিক নাদুর অনুকুলে বলবৎ আছে। অপরদিকে মাহমুদাও জমিতে নিরঙ্কুশ মালিকানায় বিদ্যমান আছে। তথাপি সম্পুর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে এই বানোয়াট খারিজ মূলে সেই ভূমিদস্যু শাহানা-রেজাউল দম্পতি নাদুর পৈত্রিক ও ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত জমি আত্মসাৎ করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় নাদুর স্ত্রী জামালপুর পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র স্বপ্না আক্তার লিপির নামে বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের মাধ্যমে লিপি তার পদ ফিরে পান। তাতেও ক্ষান্ত হয়নি সেই দম্পতি। একের পর এক মিথ্যে মামলা আর হুমকি ধমকিতে অতীষ্ঠ করে তুলেছে নাদু ও তার পরিবারের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তারা এই ভূমিদস্যু দম্পতির হয়রানির কবল থেকে মুক্তির জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply