সেলিম মাহবুব,সিলেট:
ছাতকে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু”ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। এনিয়ে হামলার অভিযোগ সহ একাধিক মামলা মোকদ্দমা রয়েছে এক পক্ষের বিরুদ্ধে। জানাগেছে ছাতক সদর ইউনিয়নের মুক্তির গাঁও গ্রামের মৃত গোলাম উদ্দিনের পুত্র লাল মিয়া, সেলিম মিয়া ও আজাদ মিয়া’র খরিদকৃত কিছু জমিতে লাল মিয়া একাই গৃহ নির্মাণ করতে গেলে তাদের মধ্যে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয়। তিররাই মৌজায় মোছাঃ গুল বাহার বেগমের কাছ থেকে ২০০০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৬৬৯৪ দলিলে কিছু জমি ক্রয় করেন লাল মিয়া,সেলিম মিয়া ও আজাদ মিয়া। ক্রয়ের পর তারা জমি সমান অংশে বাটোয়ারা করে নিয়ে ভোগ দখল করছেন।আজাদ মিয়া বর্তমানে প্রবাসে রয়েছেন। এমতাবস্থায় গত ২০ এপ্রিল সকালে লাল মিয়া পুরো জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করতে গেলে লাল মিয়া ও সেলিম মিয়ার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু ঘর নির্মাণ থেকে লাল মিয়া বিরত হয়নি। এ ঘটনায় পরদিন থানায় একটি অভিযোগ দেন সেলিম মিয়া। পরবর্তীতে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলাও (২৩৫/২৪) দায়ের করা হয় লাল মিয়ার বিরুদ্ধে।মামলার প্রেক্ষিতে আদালত জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ প্রদান করেন।
থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গত ২৯ এপ্রিল ১৪৪ ধারা বিধানমতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রথম পক্ষের জমিতে কোন ধরনের হস্তক্ষেপ বা পরিবর্তন না করার জন্য নোটিশ প্রদান সহ সতর্ক করেন। এরপরও লালা মিয়া আদালতের আদেশ অমান্য করে জমিতে রাতে-রাতে ঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত
রাখেন। এদিকে গত ৭ মে রাতে লাল মিয়া কয়েকজন মিস্ত্রি নিয়া পুনরায় ঘর নির্মাণ করতে গেলে বাঁধা দেন সেলিম মিয়া ও তার স্ত্রী। এ সময় সেলিম মিয়ার স্ত্রী লুবনা বেগমের উপর হামলা করে লাল মিয়াও তার সহযোগীরা।হামলায় গুরুতর আহত হন লুবনা বেগম। তার মাথা সহ শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত (ছেদ) রয়েছে। তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ছাতক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লুবনা বেগমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।১১ মে পর্যন্ত তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে ও তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ হামলার ঘটনায় সুনামগঞ্জের আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (ছাতক জোন ) লাল মিয়া ও তার স্ত্রী সাজিয়া বেগমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ( নং ২৫২/২৪) দায়ের করেন আরো একটি মামলা দায়ের করেন সেলিম মিয়া। এ মামলাটি থানায় এফ আই আর ভুক্ত করতে আদালত আদেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply