1. nwes@w3speace.net : ASIF : ASIF
  2. azahar@gmail.com : azhar395 :
  3. admin@gazipursangbad.com : eleas271614 :
  4. wordpUser4@org.com : GuaUserWa4 :
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের দরজা-জানালা খুলে নেওয়ার সময় আটক ১-গাজীপুর সংবাদ  ডিমলায় জমি র বিরোধে গাছ উত্তোলন।-গাজীপুর সংবাদ  হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা:) হাফিজিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সবক প্রদান ও নবীন বরন অনুষ্টিত-গাজীপুর সংবাদ  আদিবাসী ছাত্র-জনতার উপর হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচার দাবিতে নাটোরে মানববন্ধন-গাজীপুর সংবাদ  কাপাসিয়ায় কোমলমতি এতিম শিশুদের মাঝে সরকারি কম্বল বিতরন:-গাজীপুর সংবাদ  নাটোরের লালপুরে আদিবাসী ৫ শ্রেনির শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ন্যায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন-গাজীপুর সংবাদ  ছাতকে ৫ জন কর্মকর্তার বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্টিত-গাজীপুর সংবাদ  চকরিয়ায় দু’সহোদর শাহেদ-আরমানের নেতৃত্বে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট-গাজীপুর সংবাদ  সৎপুর দারুল হাদিস মাদ্রাসার সাবেক ওস্তাদুল মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা আব্দুল হাই’র জানাজা অনুষ্টিত-গাজীপুর সংবাদ  রাণীশংকৈলে যুব ঐক্যের উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ-গাজীপুর সংবাদ 

সিলেট পাসপোর্ট অফিসের সকল দূর্নীতির মূলে পরিচালক মামুন ও দালাল কিরন দেবনাথ-গাজীপুর সংবাদ 

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৪০ টাইম ভিউ

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেট পাসপোর্ট অফিসের সকল দূর্নীতির মূলে পরিচালক মামুন ও দালাল কিরন দেবনাথ

সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস এখন পরিচালক মো.আব্দুল্লাহ আল মামুন সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো.জাকির হোসেন তিনি আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম নাদেলের ধর্ম ভাই ও সোহেল আল মাসুম এবং সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো.রুবেল ইসলাম রাহাত, ডাটা এন্টি,কন্ট্রোল অপারেটর মো.মহিউদ্দিন খান। এই চারজনই পাসপোর্ট অফিসের মূল সিন্ডিকেটের হয়ে পাসপোর্ট অফিস নিয়ন্ত্রণ করেন। আরো দুটি সিন্ডিকেট রয়েছে অফিসের ভিতরে, অফিসের আনসার প্রহরী মোস্তফা কামাল ও পরিচালক মামুনের পিএ রুবেল আহমদ রাহাত, অফিস সহকারী জাকির হোসেন, ডিএডি শাহাদাৎ হোসেন। সকলে মিলে গড়ে তুলেছেন একটি নিজস্ব সিন্ডিকেট। জাকির ও মাসুমের নিয়োগকৃত দালালরা পাসপোর্ট অফিসের উত্তর দিকে ও পশ্চিম দিকের একটি দোকানে বসে ফাইল সংগ্রহ করেন।

সিলেটের কিছু সাংবাদিককে প্রতিদিন কৌটা হিসাবে ফাইল জমা নিয়ে অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে নিজেদের দূর্নীতিকে প্রমোট করে যাচ্ছেন। পাসপোর্ট অফিসের নিয়োজিত দালালদের মধ্যে অফিস ঘুরে যে কয় জনের নাম পাওয়া যায়, তাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে কিরন দেবনাথ, তার একটি দোকান রয়েছে পাসপোর্ট অফিসের বিপরীতে। কিরণ দেবনাথ অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো.জাকির হোসেন যিনি নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম নাদেলের ধর্ম ভাই পরিচয় দিতেন তার এবং পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিজস্ব নিয়োগকৃত লোক হিসাবে পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে পাসপোর্ট অফিসে দালালী করে আসছেন। দালালী করে করেছেন গাড়ি-বাড়ি।

কিরণ দেবনাথ (৫৭) বিগত ২০২৩ সালে ৩১ জানুয়ারী র‌্যাবের অভিযানে আরো ৩ দালালসহ আটক হয়ে ছিলেন। অভিযানকালে ভ্রাম্যমান আদালত কিরণসহ মো. আব্দুল মতিন (৪৯), মো. রাজু আহমদ (৪০) ও পিয়াস মিয়া (২৪) নামের আরো ৩ দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। জেল থেকে বেরিয়ে কিরণ দেবনাথ আবারও পাসপোর্ট অফিসে দালালী শুরু করেন। কিরণ দেবনাথ নিজেকে কখনো সাংবাদিক কখনো মানবাধিকারকর্মী পরিচয় দিয়ে থাকে। তার সহযোগী অপর দালালরা হলো আলমপুরের রুবেল আহমদ, আমিন উদ্দিন, কবির মিয়া, জানু মিয়া, তামিম আহমদ, দেলোয়ার হোসেন, শামিম আহমদসহ আরো ১০/১২ জনের একটি সিন্ডিকেট। সকাল হলেই এরা পাসপোর্ট অফিসের সামনে, পাসপোর্ট অফিসের ভিতরে ভিড় করে। সোমবার কিরণ দেবনাথ কখনো নিজেকে বাংলার মাটির সাংবাদিক, কখনো বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার সাংবাদিক, অথচ বাংলার মাটির প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক আখলিছ আহমদ চৌধুরী বলেন, কিরণ দেবনাথ নামে আমার কোন সাংবাদিক নেই। কোন দালাল আমার পত্রিকায় নাই। কোন দালাল সাপ্তাহিক বাংলার মাটির পরিচয় দিলে তাকে পুলিশে দেন। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আব্দুল হালিম সাগর বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর আগের সকল নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছি। সিলেট শহরে কিরণ দেবনাথ নামে আমাদের কোন সাংবাদিক নেই। তবে উপজেলায় একজন রয়েছেন কিরণ নামে তিনি মাঝে মাঝে নিউজ পাঠান তবে তাকে এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এদিকে বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ব্যুরোচীফ মোশারফ হোসেন বলেন, কিরণ দেবনাথ নামে আমাদের কোন সাংবাদিক নেই। আমি ঢাকায় যোগাযোগ করেছি, কিরণ দেবনাথ নামে সিলেটে আমাদের কোন সাংবাদিক নেই। কেউ পরিচয় দিলে তাকে পুলিশে দেন।

সোমবার পাসপার্ট অফিসে কিরণ দেবনাথের সাথে কথা হলে তিনি নিজেকে পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন আর জাকির হোসেনের হয়ে কাজ করে থাকেন বলে জানান। গর্বের সাথে তিনি বলেন, আমারে পরিচালক মামুন ও জাকির নিয়োগ দিয়েছেন। সম্প্রতি জাতীয় সাপ্তাহিক বাংলার মাটি পত্রিকায় পাসপোর্ট অফিসের দূর্নীতির এসব সংবাদ প্রকাশ হলে জনৈক ব্যক্তি নাকি বিজ্ঞাপন আকারে ঐ পত্রিকায় একটি প্রতিবাদ প্রকাশ করান। পের দেখা যায় প্রকাশিত নিউজে দালাল কিরণ দেবনাথ এর নাম চলে আসে সে বিজ্ঞাপন আকারে প্রতিবাদটি প্রকাশ করায়। উক্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশের ঐ ব্যক্তির তৎপরতা নিয়ে সন্দেহ হলে এ প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে নামেন। দীর্ঘ ১৫ দিনের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই সেই কিরণ দেবনাথ যে নিজেকে পাসপার্ট অফিসের পরিচালক আর অফিস সহকারী জাকিরের দালাল হিসাবে পরিচয় দিয়ে থাকে। পাসপোর্ট অফিসের সামনে পোজন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকান ভাড়া নিয়েছে দালালির জন্য। এ দোকানে বসেই কিরণ দেবনাথ পাসপোর্ট অফিসের দালালী করে আসছে দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে।

এদিকে এই কিরনই সাংবাদিকদের কয়েকদিন আগে পাসপোর্ট অফিসের দালালীর গোপন সকল তথ্য সরবরাহ করেছিলো সাংবাদিকদের কাছে। পাসপোর্ট অফিস থেকে কোন কোন সাংবাদিক, কোন কোন পত্রিকার নামে প্রতিদিন কয়টি করে ফাইল জমাদেন সে তথ্য প্রদান করে। যা এ প্রতিবেদকের কাছে রেকর্ড রয়েছে। এদিকে পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মামুনের একটি দুদকের মামলার চার্জসিট দাখিল করে দুদুক। সর্বশেষ নতুন করে সাবেক আইজিপি ডা. বেনজির আহমদের পাসপোর্টের তথ্য জালিয়াতির ঘটনায় আরেকটি মামলা হলে সেই মামলায় আসামী করা হয় সিলেট পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। কারণ সেই সময় তিনি ছিলেন ঢাকা পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক পদে কর্মরত।

সম্প্রতি সিলেট পাসপোর্ট অফিসের দূর্নীতি নিয়ে দৈনিক সকালের সময় সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে সিলেট পাসপোর্ট অফিস থেকে ৪ কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলী করা হয়, সেই আদেশে অফিসের এডি অন্যত্র বদলী হয়ে যোগদান করেছেন। আর বাকিরা ঘাপটি মেরে বদলীর আদেশ ঠেকাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিরণ দেবনাথ আরো জানান, নতুন মামলা হওয়ার পর পরিচালক মামুন ঢাকায় গিয়েছিলে নিজের মামলা থেকে বাঁচতে। পরে তিনি সেখানে টাকা পয়সা দিয়ে সব ম্যানেজ করে এসেছেন। পরপর দুটি মামলা থাকার পর পরিচালক মামুন স্যার নিজের ক্ষমতার জুরে চাকরি করছেন। আওয়ামীলীগ সরকার থাকতে তার কিছু হয়নি। অন্তবর্তীকালীন সরকার আসার পর উনার কিছু হয়নি।

পাসপোর্ট অফিসে কত টাকার ঘুষ বাণিজ্য হয়, এমন প্রশ্নে কিরণ দেবনাথ বলেন, প্রতিদিন মার্কার সিন্ডিকেট, ট্রাভেলসসহ দালালের মাধ্যমে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্য হয়ে থাকে। রাতে টাকাগুলো জাকির সাহেবের মাধ্যমে ভাগবাটুরা হয়ে মাুমন স্যারের কাছে যায়। কারণ দালাল আর মার্কার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করেন জাকির। পাসপোর্ট অফিসে দুদক আর ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযান এড়াতে পাসপোর্ট অফিসের আশেপাশে ৮ টি দোকান রয়েছে বিভিন্ন নামে। কিন্তু এসব দোকানের বসে কাজ করেন দালালরা।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
ছাতকে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর আলম সেলিম মাহবুব,সুনামগঞ্জঃ ছাতকে প্রতিপক্ষের হামলায় জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের চরচৌড়াই গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের পুত্র। সে গত ৩১ ডিসেম্বর একই ইউনিয়নের কামরাঙ্গী মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে হামলার শিকার হয়। হামলার ঘটনায় শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে আহারগাও গ্রামের ওয়াব আলীর পুত্র আবু সুফিয়ান সুফি, আব্দুস সোবহান, ছোরাব আলীর পুত্র আব্দুর রহিম, মৃত ইসবর আলীর পুত্র ছোরাব আলী, বুলন মিয়ার পুত্র আহমদ আলী, আব্দুল হান্নানের পুত্র ফয়জুল ইসলাম, আলকাছ আলীর পুত্র ওয়াব আলী ও কামরাঙ্গী গ্রামের মিছির আলীর পুত্র হাসন রাজার বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি দায়ের করেছেন আহত জাহাঙ্গীর আলমের বড়ভাই মো: আঙ্গুর মিয়া। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ৩১ ডিসেম্বর রাতে কামরাঙ্গী মাদরাসা মাঠে ওয়াজ মাহফিলে গেলে জাহাঙ্গীর আলমকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুকে-পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে, এখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম কিবরিয়া হাসান। ##
© All rights reserved © 2024
Developer By Zorex Zira

Design & Developed BY: ServerSold.com

https://writingbachelorthesis.com