পীরজাদা মোঃ মাসুদ হোসাইনঃ রায়পুর, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে এক প্রবাসীর কাছ থেকে ৪.৭৯ শতাংশ জমিনের টাকা নিয়ে জমি বুঝিয়ে না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় খোকনের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রায়পুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবাসী রিয়াদ হোসেন ও তার স্ত্রী মৌসুমি একই এলাকার মোহাম্মদ উল্যার ছেলে মোহাম্মদ খোকনের কাছ থেকে বায়না চুক্তি করে গত ১৮/০৮/২০২২ ইং তারিখে ৩০ নং কেরোয়া মৌজার ২৪৪৭ নং খতিয়ানের সাবেক ৪৩৩৭ নং দাগে ৪.৭৯ শতাংশ জমিন খরিদ করে। জমিনের দাম নির্ধারন করা হয় ৭ লক্ষ ২ হাজার ৫ শত ৩৩ টাকা। এর মধ্যে গ্রহিতাদ্বয় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ৫২৫৩৩ টাকা রেজিষ্ট্রেশন করার সময় দেয়ার কথা ছিলো।
বায়না চুক্তি করে উক্ত জমি দাতা খোকন কর্তৃক গ্রহিতাদের বুঝিয়ে দিলেও অদ্যাবধি রেজিষ্ট্রেশন করে দেয়নি। বিভিন্ন সময় দাতা কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশন করিয়া দিবে বলে ঘুরাতে থাকে।
এ ব্যাপারে প্রবাসী মোঃ রিয়াদ বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারী উক্ত জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মান করতে গেলে দাতা মোহাম্মদ খোকন আমাকে বাধা দেয়, এবং বলে যে সে আমাকে উক্ত জমি বুঝিয়ে দিবেনা। আমার জমিন বুঝে পাওয়ার জন্য আমি প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা চাই।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ খোকনকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে, তিনি উক্ত জমিন বিক্রি বাবদ বায়না চুক্তি করে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করার কথা স্বীকার করে বলেন, উক্ত জমিন ভুলবসত ভিপি তালিকাভুক্ত হওয়ায় জটিলতা রয়েছে, কথা ছিলো সংশোধন করে উক্ত ভুমি আমার নামে এনে গ্রহিতাগনকে রেজিষ্ট্রেশন করে দিবো, কিন্তু সংশোধন করতে না পারায় তাহা সম্ভব হয়নি। আমি গ্রহিতাদের উক্ত টাকা ক্ষতিপুরনসহ ফেরত দিতে চাই।
উক্ত বিষয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা মোঃ পরান পাটোয়ারী বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। প্রবাসী রিয়াদ অত্যন্ত সরল ও ভালো মানুষ। তার সরলতার সুযোগে খোকন তার সাথে এমন আচরন করেছে। আমরা চাই এর একটা বিহীত ব্যাবস্থা হোক।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply