ওসমান গনি,গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলা ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক সাময়িক বরখাস্তকৃত গজারিয়া কলিম উল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজার বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহারপূর্বক তাকে স্বপদে বহালের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা কলেজের অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজাকে স্বপদে বহলের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। প্রথমে আন্দোলনকারীদের প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া হলেও পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় তারা ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পায়। ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানটির সামনে অধ্যক্ষকে স্বপদে বহালের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা। এরপর প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটকের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে অধ্যক্ষকে তার দায়িত্ব পালনে সুযোগ দিতে ম্যানেজিং কমিটির প্রতি আহ্বান জানায়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিয়াম বলেন, ‘আমাদের স্যার নোংরা রাজনীতির শিকার। কলেজের কিছু শিক্ষক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি সম্মিলিতভাবে ষড়যন্ত্র করে স্যারকে সরিয়ে দিয়েছে। স্যারের বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতির অভিযোগ থাকে সেটা তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী স্যারের দায়িত্ব পালনে কোন বাধা নেই। তাহলে কেন স্যারকে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না? আমরা স্যারকে স্বপদে বহাল করার দাবি জানাচ্ছি।’
বিষয়টি সম্পর্কে সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা বলেন, ‘আমাকে যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তা সঠিক হয়নি। এডহক কমিটি কখনো অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা রাখে না। বিষয়কে নিয়ে আমি উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করলে আদালত আমার সাময়িক বরখাস্তের আদেশটি স্থগিত করে এবং একটি রুল জারি করে। ম্যানেজিং কমিটি আদালতের স্থগিতাদেশটি স্থগিত চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করলে সেটি খারিজ হয়ে যায়। আইন অনুযায়ী অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে আমার আর কোন বাধা থাকার কথা নয় কিন্তু আমাকে সেটা করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি কলেজে গেলেই আমাকে সেখানে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয় এমনকি আমাকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর পর্যন্ত করতে দেওয়া হয় না। আমার সাথে যেটা করা হচ্ছে সেটা একদিকে যেমন অমানবিক অন্যদিকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
আন্দোলনের বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোসাম্মৎ খালেদা নাহার বলেন, ‘আজকে যারা আন্দোলন করছে তারা সাবেক অধ্যক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আন্দোলন করছে। আমরা শুনতে পেয়েছি লক্ষাধিক টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে আন্দোলনে নামানো হয়েছে।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্তের বাহিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আদালতের নির্দেশে যদি তিনি দায়িত্ব পালনের সুযোগ পান তবে তাকে বাধা দেওয়া বৈধ নয়। ম্যানেজিং কমিটি কেন তাকে দায়িত্ব পালন করতে দিচ্ছেন না তা আমার জানা নেই।’
উল্লেখ্য, আর্থিক অনিয়মসহ নানা বিষয়ে ৪০টির বেশি লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৮ অক্টোবর গজারিয়া কলিম উল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রতিষ্ঠানটির এডহক কমিটি। তবে প্রথম থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন প্রতিষ্ঠানটির সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply