মোহাম্মদ মাসুদ
বাংলাদেশে অর্ধকোটি জনতার অংশগ্রহনে চট্টগ্রামের জুলুস বিশ্বের সবচেয়ে বড় জুলুস দাবি জুলুস আয়োজনকারী ও অংশগ্রহণকারী সাধারণ জনতার। বিশ্বের সবচেয়ে জুলুস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি। ৫০ বছর আগে সর্বপ্রথম চট্টগ্রাম থেকে এ জুলুস শুরু হলেও এখন সারাদেশে পালিত হচ্ছে। দাবি উঠেছে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের।
আজ ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার জশনে জুলুছে ঈদ–এ–মিলাদুন্নবী (দ.)-এর নেতৃত্ব দেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবের শাহ। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন শাহজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ। তাঁদের সফরসঙ্গী ছিলেন আনজুমান ট্রাস্ট নেতৃবৃন্দ।
সকালে মুরাদপুরের ষোলশহর আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে জুলুস শুরু হয়ে
বিবিরহাট, মুরাদপুর,ষোলশহর ২ নম্বর গেইট, জিইসি হয়ে উল্টো বিপরীত পথে দুপুরে জামেয়া মাদ্রাসা ময়দানে এসে শেষ হয়। জুলুস ময়দানে উম্মতে মুহাম্মাদী ও সিলসিলার ভক্ত আশেকগন উপস্থিত ছিলেন। ধর্মীয় আলোচনায় আজকের এই দিনের ও মিলাদুন্নবীর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন। জুলুস ময়দান থেকে বিশ্ব ও দেশের শান্তির বার্তায় কল্যাণে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবের শাহের দোয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে জুলুসের সমাপ্তি হয়। আল্লাহ–রাসূল ও হযরত মাশায়েখের কেরামের সন্তুষ্টি অর্জনে ও সকলের শন্তি ও মুক্তির জন্য দোয়া করা হয়।
দেশখ্যাত বরেণ্য আলেম মাশায়েখরা উপস্থিতি ও বক্তব্য আলোচনায় বিশ্ব শান্তি দেশের কল্যাণেই জুলুসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আনজুমানের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এ জুলুস গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করবে।
জুলুসে অংশগ্রহণকারীদের আপ্যায়নে অনেক সংগঠন ব্যক্তিগন নিজেদেরকে খেদমতে তবররক হিসেবে নানা পানীয় ও শুকনো খাবার বিতরণে লাখো মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
দেশে মাজার ভাঙার অপসংস্কৃতি ঘোষণা দিয়ে মাজার ভাঙার অপচেষ্টাকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির দাবি জানায়।
অর্ধশত বছর আগে ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ রবিউল জুলুসের ৫২তম এ জশনে জুলুসে পালিত হয়।
প্রয়াত আল্লামা হাফেজ সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র) চট্টগ্রামে জশনে জুলুসের প্রবর্তনকারী। তার ছেলে আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ ১৯৮৭ সাল থেকে জুলুসে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। এবার জুলুসে নেতৃত্ব দেওয়া সাবের শাহ আল্লামা তাহের শাহ’র ছেলে।
৩০০ প্রশিক্ষিত আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্স, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের কর্মী ও জামেয়ার হাজার হাজার ছাত্র স্বেচ্ছাসেবক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
বিভিন্ন মোড়ে সুসজ্জিত তোরণ সড়কের মাঝ আইল্যান্ডে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা, আনজুমানের পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন সুসজ্জিত করা হয়। ভোর থেকে বিভিন্ন
জেলা উপজেলা দুরদুরান্ত থেকে বাস, ট্রাক, জিপে কয়েক বর্গকিলোমিটার লোকারণ্যে পরিণত হয়েছে।
Design & Developed BY: ServerSold.com
https://writingbachelorthesis.com
Leave a Reply