
নীলফামারী(জেলা) প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডিমলা
উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তিস্তা নদীর বাধ রোধ প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য সরবরাহকৃত সরকারি জিও ব্যাগ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করায় এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া হয়। ডিমলা ইসলামিয়া কলেজ মোড়ে স্থানীয় জনতা একটি ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান সহ ৩১০-টি জিও ব্যাগ আটক করেন। স্থানীয়দের ধারণা, এগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালামাল। সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়ে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দেয়। এ সময় জরুরি ভিত্তিতে পাউবো কয়েক হাজার জিও ব্যাগ সরবরাহ করে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায়, ওই জিও ব্যাগগুলোর একটি অংশ রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়েছে। রাতে আধারে স্থানীয়রা দেখতে পান, একটি অটোভ্যানে জিও ব্যাগ ভর্তি অবস্থায় জলঢাকা উপজেলার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সন্দেহ হলে তারা ভ্যানটি থামিয়ে তল্লাশি করেন এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ব্যাগগুলো গণনা করে মোট ৩১০টি জিও ব্যাগ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. মনির হোসেনের নাম উঠে আসে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি ব্যক্তিগত লাভের আশায় সরকারি জিও ব্যাগগুলো অবৈধভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করছিলেন।
ঘটনা তদন্তে গেলে অভিযুক্ত মোঃ মনির হোসেন নিজেকে যুবদলের নেতা পরিচয় দেন এবং বিষয়টি জাতীয় দৈনিক ঘোষণায় প্রকাশিত হলে, শুক্রবার রাত ৭টা ৩৫ মিনিটে+8801774498115 এই নাম্বার থেকে দৈনিক ঘোষনা পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধিকে ফোন করে হুমকি দেন।কথা বলে ফোনে বলে আমি যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ মনির হোসেন বলতেছি আমার ইউনিয়নের বিষয়ে আপনি নিউজ করেছেন আমরা সবাই ও আমাদের দলের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ আপনার কাছে আসতেছি।এতে এলাকায় চাঞ্চল্য ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।তবে নিউজে কোন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠান ও দলীয় নাম প্রকাশ ছিল না।
ডিমলা সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবু তালেব বলেন,
স্থানীয়দের সহযোগিতায় জিও ব্যাগগুলো উদ্ধার করে আমার হেফাজতে রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে অনুযায়ী অাইন গত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সালামত ফকির জানান,
তিস্তা ভাঙনরোধে ব্যবহারের সময় কিছু জিও ব্যাগ নিখোঁজ হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া ব্যাগগুলো সরকারি মালামাল কিনা, তা যাচাই করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত মনির হোসেন বলেন,
আমি জলঢাকার এক ঠিকাদারের কাছ থেকে বৈধভাবে জিও ব্যাগগুলো কিনেছিলাম। পরে কাজে না লাগায় ফেরত দিতে নিয়ে যাচ্ছিলাম।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরানুজ্জামান বলেন,
জিও ব্যাগ আটক হওয়ার খবর পেয়েছি। মালামালের বৈধতা যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।
Leave a Reply